ডায়াবেটিস একটি ক্রমশঃ বৃদ্ধি করা অস্তিত্ব সম্পন্ন রোগ যা রক্তে শর্করা (গ্লুকোজ) এর মাত্রা বৃদ্ধি হয় এবং তা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এই অবস্থায় শরীরের উচ্চ মাত্রায় শর্করা থাকে, যা রক্তশুগার হিসেবে পরিচিত। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের খাদ্যতত্ত্ব, ব্যায়াম, ওষুধ, এবং অন্যান্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা মাধ্যমে রক্তশুগার নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
ডায়াবেটিস দুই ধরণের হয় – টাইপ ১ এবং টাইপ ২:
টাইপ ১ ডায়াবেটিস: এই ধরণের ডায়াবেটিসে রোগীর শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হতে বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে ইনসুলিন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, যা শরীরের শুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তা উৎপন্ন হোয়ার দ্বারা রক্ষা করা হয় না। এই রোগে ব্যক্তির উচ্চ মাত্রার শর্করা হয়ে থাকে, যা তাকে দৈহিক জীবনে অনেক সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস: এই ধরণের ডায়াবেটিসে রোগীর শরীর ইনসুলিন তৈরি হয় কিন্তু তা সঠিকভাবে ব্যবহার হয় না অথবা তৈরি হয় না যত্ন সুবিধায়। এই কারণে শরীর ঠিকভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারতে পারে না।
ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা হোক টাইপ ১ বা টাইপ ২, মূল চিকিৎসা প্রস্তুত করা হয় এমন কিছু মুখ্য উপায়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যক্রম:
নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যক্রম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং শরীরের শুগার স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারে।
খাদ্য ও পুষ্টি: সুস্থ খাদ্য পূর্ণতা, উচ্চ ফাইবার এবং কম পরিমাণে তেলের মধ্যে বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
ওষুধ: ডায়াবেটিস চিকিৎসা করতে ওষুধ ব্যবহার হতে পারে, এবং এটি অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শের ভিত্তিতে হতে হবে।
নিয়মিত চেকআপ ও পর্যাবৃত্তি: ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিতভাবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে এবং নিয়মিতভাবে রক্তপরীক্ষা করাতে হবে।
অধিক বা কম ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: যদি রোগী বা আসলে ওজন সামান্য বা বেশি হয়, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে, ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা সবসময় একজন বৈষজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনায় হতে হবে।