তারাবির নামাজের নিয়ত, নিয়ম, দোয়া,মহাত্ম ও বিধান

ইসলামিক

তারাবি নামাজ ইসলামী ধর্মের একটি বিশেষ নামাজ যা মুসলিম সমাজের মধ্যে রমজান মাসের সময় প্রচলিত হয়। এটি রমজানের প্রতি রাতে পালন করা হয়। তারাবি নামাজের সময় রমজানের শেষ আশরের একটি অংশের মধ্যে এবং ইফতারের পর শুরু হয় এবং শেষ হয় তাহেরীরের আগের জন্য অথবা তাহেরীর পরের অংশে।

তারাবি নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং আরবি কোনো অন্য সূরা পাঠ করা হয়। সাধারণত তারাবি নামাজে একটি মুসলিম ইমাম তারাবি নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়াবেন এবং অন্য মুসলিম পরিমণ শ্রদ্ধালু মুসলিমদের সাথে জমা হবেন।

তারাবি নামাজের প্রচলিত হওয়ার একটি উপকারিতা হ’ল এটি কুরআনের পূর্ণাঙ্গ পড়ার সুযোগ প্রদান করা। রমজান মাসের এই সময়ে মুসলিম সমাজ কুরআনের পূর্ণাঙ্গ পড়া করার জন্য বেশি উদ্যোগী হয় এবং তারাবি নামাজ এই পথে সাহায্য করে।

সাধারণত তারাবি নামাজে অধিকাংশিক সূরা অনুযায়ী মুসলিম সমাজের প্রতি রাতে কুরআনের একটি অংশ পড়া হয়। এটি মুসলিমদের একটি সময়ে জমা হওয়া এবং ধার্মিক সংগীত এবং আত্মীয়তা বাড়ায় এবং কুরআনের মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস ও ধার্মিক প্রকৃতি বাড়ায়।

তারাবির নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও দোয়া

তারাবির নামাজ বাংলা মুসলিম সম্প্রদায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এটি রমজান মাসের অবধি বিশেষভাবে পালন করা হয়। তারাবির নামাজের নিয়ত, নিয়ম এবং দোয়া নিম্নে দেওয়া হলো:

তারাবির নামাজের নিয়ত (নিয়ম)

তারাবির নামাজের নিয়ত করা হয় নামাজ শুরুর আগে, তারাবির নামাজের মধ্যে নিম্নলিখিত নিয়ত পড়া হয়:

“নীয়ত করিনি, তারাবির নামাজ শরীফের সালাত সুন্নাতুল্লাহি গায়েবা ও একাদশের সালাত সুন্নাতুল্লাহি ফীরা ২ রাকায়াতি আলী ফি কফরা সুন্নাতুল্লাহি ফীরা ৪ রাকায়াতি আলী ফী কফরা নাফিলাতহল মুতাবা’বির ইমামা সাহিবির ইমামা সাহিবিতের ফিক্রির আহমিয়্যাতে, এরূপ ও ইবাদতের প্রতি আল্লাহর মুখেই প্রশংসা ও কাদির শ্রদ্ধাস্তুতির মাধ্যমে এর ফুর্তি, এতে কঠোরপতিত হই এবং এতে সুন্নাতুল্লাহি ফীরা ২ রাকায়াতি আলী ফী কফরা ফুর্তির নিয়মে পাঠাবেন। মেরুফাদের পরিবর্তন নহয় এবং সমস্ত ইবাদতের শুরু এবং সমাপ্তি আল্লাহর মুখেই করাবেন।”

তারাবির নামাজের নিয়ম

  1. তারাবির নামাজ রমজানের প্রতি রাতে পড়া হয়।
  2. প্রতি রাকায় সূরা ফাতিহা এবং কোন অন্য সূরা পাঠ করা হয়।
  3. প্রতি রাকায় দু’টি রাকা পড়া হয়।
  4. সব রাকায় সূরা ফাতিহা পড়ার পরে কোন একটি সূরা পড়া জরুরি নয় কিন্তু পড়া উত্তম।
  5. এর পরে সাজদা, তাশাহুদ এবং সালাম পড়ে সলাম ফিরে আসা হয়।
  6. তারাবির নামাজে ইমাম পূর্বের আযানের পরে আর কোন নামাজ পড়েন না।
  7. প্রতিটি রাকায় ইমামের পাশে সারি করে দাঁড়ানো উত্তম।

তারাবির নামাজের দোয়া

তারাবির নামাজের সমাপ্তিতে নিম্নলিখিত দোয়া পড়া হয়:

“আল্লাহুম্মা ইন্নি অসলুকা মিন রাহমাতিকা ও আস্তাইনুবিকা মিন আফুইকা ও আস্তাগিফিরুকা লিসনুবিকা ও লিনাজিয়া নিকবিকা ও নাশাদুকা অলায়বদু নিলাইলাহ আন্নাহা নিবন মুহাম্মাদুর রাসুলহাইলাহ।”

এই দোয়ার অর্থ হল, “হে আল্লাহ, আমি তোমার রহমত চাই এবং তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমি তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার ক্ষমা প্রার্থনা চাই। আমি তোমার গুণে প্রশংসা করি এবং পাপ থেকে বিমুক্তি চাই। তুমি ছাড়া কোন ইবাদতকে পারবো না, তুমি ছাড়া কোন মালিক নেই, আল্লাহের সিদ্ধান্ত চাই। মোহাম্মদ (সাঃ) তোমার দূত।”

তারাবির নামাজের মহাত্ম ও বিধান

তারাবির নামাজ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি প্রধান ইবাদত। এটি রমজান মাসের প্রতিদিনের রাতে আদায় করা হয়। তারাবির নামাজের মহাত্ম ও বিধান নিম্নলিখিত ভাবে:

মহাত্ম:

  1. **প্রতি রমজান মাসে আল্লাহর বরাবরে একটি উত্তম মনোনিবেশ এবং তার দরজায় আমলের জন্য সুযোগ তৈরি করে।
  2. **এটি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পীড়ন্ত একটি প্রত্যক্ষ সুযোগ যেখানে মুসলিমরা আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য তাদের মনের শুদ্ধাচারন প্রদর্শন করতে পারে।
  3. **এটি মুসলিম জীবনের একটি নিয়মিত অংশ যা তাদের ইমান এবং আমলের প্রকৃত স্থায়িত্ব বাড়ায়।

বিধান:

  1. **তারাবির নামাজ নিয়মিতভাবে রমজান মাসের সময়ে পড়া উচিত।
  2. **এটি ঈদগাহে পড়া উচিত না বরং মসজিদে বা মুসলিমদের সম্মেলনের জন্য খোলা প্রদর্শন করা উচিত।
  3. **এই নামাজে বিশেষ ধর্মীয় বা ধর্মগত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
  4. **এটি একটি প্রকৃত ধর্মীয় অভিব্যক্তির মাধ্যম হিসেবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে যুক্তি তৈরি করে যা একটি আধুনিক সমাজের সাথে অমুখীয়ন সম্পর্ক রক্ষা করে।
বৈশাখ২৪/Boishakh24

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *