নারীরা হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যায় বেশি ভোগেন, যা তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু সাধারণ হরমোনজনিত সমস্যা হল:
- পিরিয়ডের অস্বাভাবিকতা (Menstrual Irregularities): নারীদের মাসিক চক্রে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা, যেমন অতিরিক্ত রক্তপাত বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া, পলিসিস্টিক ডিম্বাশয়ের (PCOS) সমস্যা, থাইরয়েড সমস্যা বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
- পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিনড্রোম (PCOS): এটি একটি সাধারণ হরমোনজনিত সমস্যা, যা সাধারণত মাসিক অস্বাভাবিকতা, অল্প বয়সে মেদ বৃদ্ধি, ত্বকে ব্রণ, হঠাৎ বাড়তি লোম বৃদ্ধি ইত্যাদির সৃষ্টি করে।
- থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত (হাইপারথাইরয়েডিজম) বা কম (হাইপোথাইরয়েডিজম) কাজ করা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজমে মেদ বৃদ্ধি, ক্লান্তি, বিষণ্ণতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, আর হাইপারথাইরয়েডিজমে অতিরিক্ত স্বেদ, অস্বাভাবিক হার্টবিট, উদ্বেগ ইত্যাদি হতে পারে।
- মেনোপজ: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে এবং মেনোপজ (মাসিক বন্ধ হওয়া) পরবর্তী সময়ে অনেক নারী শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা, ঘুমের সমস্যা, মুড সুইং, শুকনো ত্বক, এবং হট ফ্ল্যাশ এর মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন।
- এস্ট্রোজেনের অভাব: মহিলাদের শরীরে বিশেষ করে বয়স বাড়ানোর সাথে সাথে প্রাকৃতিকভাবে এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়, যা হট ফ্ল্যাশ, মুড সুইং, এবং যৌন ইচ্ছায় কমতি তৈরি করতে পারে।
- প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত হরমোনের সমস্যা: গর্ভাবস্থায় প্রেগন্যান্সি হরমোন যেমন প্রজেস্টেরন এবং হিউম্যান চোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (hCG) বৃদ্ধি পায়, যা গর্ভাবস্থার বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে যেমন বমি বমি ভাব, মেজাজের তারতম্য, এবং গর্ভাবস্থায় অন্য হরমোন পরিবর্তন।
- স্ট্রেস এবং অ্যাড্রিনাল ফাটিগ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ এবং স্ট্রেসও অ্যাড্রিনাল হরমোনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা শরীরের অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
এছাড়া, কিছু মহিলাদের হরমোনাল চিকিৎসা বা জন্মনিরোধক পিলের কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে।