শসায় আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রতি ১০০ গ্রাম শসা থেকে ১৫.৫ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রোটিন পাওয়া যায় ০.৬৪ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.৭৮ গ্রাম, ফ্যাট ০.১১ গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার ০.৬২ গ্রাম, মনোসাক্যারাইড ১.৭০ গ্রাম।
এসব উপাদান ছাড়াও দেহের জন্য শসায় আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
শসা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো:
- জলীয় উপাদান: শসা প্রায় ৯৫% পানি দিয়ে গঠিত, যা শরীরকে সজীব রাখে এবং পানির ঘাটতি পূর্ণ করে।
- হজমে সাহায্য: শসায় ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
- ত্বকের জন্য উপকারী: শসায় ভিটামিন C, সিলিকা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বককে সতেজ এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রদাহ বা প্যানের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: শসা কম ক্যালোরিযুক্ত হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, বিশেষ করে ডায়েটিং করার সময় এটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
- কিডনি এবং মূত্রাশয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি: শসা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, যা কিডনি এবং মূত্রাশয় সুস্থ রাখতে সহায়ক।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: শসার মধ্যে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- এনার্জি প্রদান: শসা শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গরমের সময়ে এটি শরীরকে সতেজ এবং শক্তি প্রদান করে।
- এনার্জি প্রদান: শসা শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গরমের সময়ে এটি শরীরকে সতেজ এবং শক্তি প্রদান করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: শসা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
- হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি: শসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা হার্টের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
- অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ: শসা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য: শসায় সিলিকা রয়েছে, যা হাড়ের শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি হাড়ের ক্ষয় এবং ভঙ্গুরতা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
- মাথাব্যথা ও স্ট্রেস কমানো: শসার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পানির পরিমাণ শারীরিক চাপ কমাতে এবং মাথাব্যথা দূর করতে সহায়ক হতে পারে।
- ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা: শসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং বয়সজনিত সমস্যা কমায়।
- অ্যলার্জি কমানো: শসা ত্বকে পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি শরীরের মধ্যে অ্যালার্জি প্রতিরোধী কাজ করে।
- অক্সিজেন প্রবাহে সাহায্য: শসার উচ্চ পানির পরিমাণ রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ উন্নত করতে সহায়ক, যার ফলে শরীরের কোষগুলো বেশি অক্সিজেন পায় এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
- ডিটক্সিফিকেশন: শসা প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। এতে থাকা পানি এবং ফাইবার শরীরের পরিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া উন্নত করে।
- অক্সিজেন প্রবাহে সাহায্য: শসার উচ্চ পানির পরিমাণ রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ উন্নত করতে সহায়ক, যার ফলে শরীরের কোষগুলো বেশি অক্সিজেন পায় এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
- পাচনতন্ত্রের সুস্থতা: শসা প্রাকৃতিকভাবে আন্ত্রিক রোগ দূর করতে সাহায্য করে, কারণ এটি খাবারের হজমের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে এবং গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়।
- ফুসফুসের স্বাস্থ্য: শসায় থাকা ভিটামিন C এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা থাকে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শসায় থাকা ভিটামিন C, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- হরমোনের ভারসাম্য: শসা প্রাকৃতিকভাবে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য মেনোপজের সময় বা মাসিক চক্রের সময় এটি উপকারী।
- পেটের প্রদাহ কমানো: শসা খেলে পেটের যেকোনো ধরণের প্রদাহ কমে যেতে পারে, যেমন আলসার বা পেটের অস্বস্তি।
- মাইক্রোবিয়াল কন্ট্রোল: শসা প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
- অ্যাকনে ও ত্বকের সমস্যা কমানো: শসার পুষ্টি উপাদান ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং অতিরিক্ত তেল বা ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়, যা পিম্পল বা অ্যাকনেকে প্রতিরোধ করতে পারে।
- পানি এবং ইলেকট্রোলাইটস ব্যালান্স: শসা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের পানির এবং ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় থাকে, যা শরীরের কার্যক্ষমতা এবং সুস্থতা ধরে রাখতে সহায়ক।
এভাবে শসা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের প্রায় সব দিকেই উপকার পাওয়া যেতে পারে।