বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নাকি সাফল্যের ব্যবসা?
লিখেছেন: মোঃ আব্দুর রহমান জিহাদ
মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা শিক্ষা ব্যবস্থা। আর যদি এটাই হয়ে যায় আধুনিক জগতের নতুন ব্যবসা, তবে কি জাতি ঠিক থাকবে! প্রতিটি মানুষের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিক্ষা। বাংলা একটি প্রবাদ আছে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, অথচ এই মেরুদন্ডেই ভেঙ্গে ফেলেছে একটি কুচক্র।
এরমধ্যে কালো রাজনীতি কাজ করে, শিক্ষা অবস্থান যা বর্তমানে মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছে। উন্নত দেশগুলোতে মানে হাতে-কলমে শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ছোট থেকে যেকোনো কাজ সহজে শিখে নিতে পারে। অথচ আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি এ যেন এক বউয়ের বোঝা। কারিগরি হাতে কোন শিক্ষাই নেই, শুধুমাত্র আছে বই পড়া জ্ঞানীদের জীবনী তাদের পরিচয় তাদের লেখা, কবিতা, উপন্যাস ও ইতিহাসপড়তে পড়তেই জীবনের ডিস্টার্ব বছর কারো কারো 35 বছর লেগে যায়। আর যখন এই পড়ালেখা শেষ করা হয় এজন্য যা হয়, তখন সৃষ্টি হয় এক মহাকান্ড, এত কষ্ট করে এত বছর পড়ালেখা করে একটা বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জনের পরে চাকরি নিতে গেলেই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে অভিজ্ঞতা লাগবে অভিজ্ঞতা লাগবে। অথচ অভিজ্ঞতা তো তখনই হবে যখন আমার চাকরি হবে। এবার তো আরো নানা কিচ্ছা কাহিনী, বছরের পর বছর চলে যায় পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে, না থাকে সরকারি চাকরির বয়স সীমা। এরপর যখন সরকারি সার্কুলার আসে,বয়স সীমা আপনার বয়স হয়ে গেছে আপনি চাকরির আবেদন করতে পারবেন না। এরপর আর কি না পারে দেখাতে না পারে বিয়ে করতে।
শিক্ষা ব্যবস্থা নাকি আধুনিক যুগের ব্যবসা?
এত কষ্ট করে পড়ালেখা করে এত বছর ক্লান্তি করে এত টাকা খরচ করেও যখন চাকরি হয় না। তখন আপনি বিয়ে করতে পারছেন না, প্রশ্ন একটাই ছেলে কি করে? আপনি এতোটুকু পড়ালেখা করেছেন তাদের কাছে বিন্দু পরিমাণও এটার মূল্যায়ন নেই। আরে দুশ্চিন্তায় দিন কাটতে কাটতে জীবন মরণ এক প্রান্তে রেখে আপনি বেঁচে থাকবেন কিভাবে। যাই হোক এসব বিষয়ে আপনাদের অনেক ভালো অভিজ্ঞতা আছে। আজকে যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলার ছিল কিছুই বলা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থা নাকি ব্যবসা! কি অবস্থা রে করুন পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার ব্যবসা। প্রাইভেট সেক্টর বা সরকারি সেক্টর, সবখানেই ব্যবসা জমজমাট চলছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা নাকি রাজনৈতিক ব্যবসা?
সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার কথাই বলি, বইয়ের পাতায় শিক্ষণীয় বিষয়ের চেয়ে রাজনৈতিক বিষয় অনেক বেশি। নিয়মিত শিক্ষা পাঠ দানের পাশাপাশি রাজনৈতিক শিক্ষাটাও প্রতিটা শিক্ষামূল্যে চলে, দল বা ছাত্রলীগ করার জন্য বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশে এটা কিছু না, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অবস্থা শিক্ষাব্যবস্থা সবসময় রাজনৈতিক একটি কুচক্রের হাতে দখলে থাকে।
শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড নাকি জাতির মেরুদন্ড ভাঙ্গার কারিগর?
এই যে পরীক্ষা না নিয়ে অটো পাস, অটো বাসের অর্থ পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দেখে দেখে লিখে পরীক্ষা খাতা জমা দেওয়া। নতুন এই নিয়ম তৈরি করে রাজনৈতিক চক্র তার দলকে আরশোকৃত করে। আই লাভবান হয় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কাল চক্র জানো না ভালোবাসার মাধ্যমে শিক্ষার মেরুদন্ডকে একেবারে চুরমার করে ভেঙে দেওয়া হয়।
অল্প বয়সে রাজনীতি করে গাছ আসে বন সিগারেট মদ জুয়া এগুলো ব্যবস্থার মধ্যে দৈনন্দিন ছাত্র ছাত্রীর মাথায় কাজ করে। তারা এইসব বিষয়ে এতটা লিপ্ত হয়ে যায় এটা যেন সাধারন একটি বিষয় তাদের জন্য এটা যেন নিয়মিত তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই খারাপ কিছু তাদের কাছে ভালো কিছু রূপান্তরিত হয়ে যায়, এখন তো বর্তমানে মেয়েছেলে সবাই সরাসরি সিগারেট ধূমপান করে থাকে। আর এই নেশাগ্রস্ত হয়ে তারা কখন কি করে তারা নিজেরাই জানে না। তারা নেশার জন্য মানুষ কোন পর্যন্ত করতে পারে, এক ধরনের ছাপরি গ্যাং তৈরি করে, তারা একটি দল গঠন করে এবং চাঁদা তুলে। নেতাদের কথা রাখার জন্য, তারা যে কাউকে হুমকি দিয়ে বসে, গাজার নেশায় তাদের বিবেকবোধ মনুষত্ব কিছুই থাকেনা। এ হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা। যাই হোক গেলে অনেক কিছু, যা সমুদ্র পরিমাণ। আমি শুধু সামান্য কিছু বলে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, আশা করছি বুঝতে পেরেছেন আর না বুঝলেও মন্তব্য করবেন বা প্রশ্ন করবেন অবশ্যই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব।
কিভাবে সরকারি শিক্ষা অবস্থা হয়ে যায় রাজনৈতিক চক্রের হাতে, হাসি ঠকদের কথা বললে তো হতবাক হবেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে ফেল করিয়ে দিবেন নিশ্চিত। আমি যা মনে করি, আপনার জীবনের সাথে আমার কথার মিল পাবেন। শিক্ষক সরকারি ওই গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসে মনের খুশিতে সিগারেট টানে তবে কি ছাত্ররা ভালো থাকবে? আর যাই হোক আমি শিক্ষকদেরকে সম্মান করি কোন না কোনভাবে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে এই পর্যন্ত এসেছেন। চাকরির জন্য হয়তো ঘুষ দিয়েছেন অথবা চাকরির জন্য এভাবে বয়সীমা পার করেছেন অথবা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছিলেন মাদকাসক্ত ছিলেন।
এবার প্রাইভেট সেক্টরের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা শেয়ার করছি, খুব সুন্দর উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, যা সরকারি ব্যবস্থার চেয়ে অনেক ভালো। কিন্তু মধ্যবিত্ত বা গরিবদের জন্য কি অবস্থা আসেনি। তারা কি ৫০০ টাকা খরচ করতে পারবে, তারা কি মাসে ১০০০০ টাকা প্রতিষ্ঠানের খরচ দিতে পারবে। তা কখনোই পারবে না, প্রাইভেট সেক্টরের হাতের তৈরি প্রতিষ্ঠান। এটি একটা ভালো ব্যবসায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।