নুরুল হক নুর ও মুহাম্মদ রাশেদ খান

সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান

শিক্ষা

সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান

নুরুল হক নুর ও মুহাম্মদ রাশেদ খা

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল হক (নুর)। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মুহাম্মদ রাশেদ খান। দলের সদস্যসচিব নুরুল হকের সমর্থকদের ঘোষিত প্রথম কাউন্সিল শেষে আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দলের আহবায়ক রেজা কিবরিয়ার অনুসারীদের একটি অংশ কাউন্সিলে অংশ নেয়নি।

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উচ্চতর পরিষদের আট সদস্য পদেও ভোট হয়। গণ অধিকার পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় কাউন্সিলের ভোটার ২১৬ জন।

রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরিফুল ইসলাম। দলের উচ্চতর পরিষদের ভোটে জয়লাভ করেন আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান,শহিদুল ইসলাম, ফাতেমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী ও জসিম উদ্দিন।

গণঅধিকার পরিষদের কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। সদস্যসচিব নুরুল হক ছাড়া অপর দুজন হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল উস সাকিব ও সহকারী আহ্বায়ক বায়েজিদ শাহেদ। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। তারা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, হাসান আল মামুন ও যুগ্ম সদস্যসচিব জিল্লু খান। উচ্চতর পরিষদের ৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১৮ জন।

আজ সকালে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের প্রথম কাউন্সিল শুরু হয়। দলের সদস্যসচিব নুরুল হকের সমর্থকদের ঘোষিত এই কাউন্সিলে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন আহবায়ক রেজা কিবরিয়ার অনুসারীরা। তবে রেজা কিবরিয়ার ঘোষিত সদস্যসচিব হাসান আল মামুন শেষ সময়ে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন৷

শেষ সময়ে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলের যুগ্ম আহবায়ক হাসান আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলকে সম্ভাব্য ভাঙনের হাত থেকে বাঁচাতে প্রার্থী হয়েছি। দুই পক্ষের মধ্যে শেষ সময় পর্যন্ত সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছে৷ আজ তো শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। তাই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কেউ কাউন্সিলে অংশ না নিলেও পরে কমিটিতে আসার সুযোগ থাকবে।’

সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন করে জনপ্রিয়তা পাওয়া নুরুল হক ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে নুরুল হক ও তাঁর সমমনারা ২০২১ সালের অক্টোবরে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দল চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে।

গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হকের বিরোধ থেকে বেশ কয়েক দিন ধরে দলে অস্থিরতা চলছে। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অব্যাহতি, অনাস্থা প্রস্তাব, অপসারণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ১ জুলাই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে নুরুল হকের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা আহ্বায়কের পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। ওই বৈঠকে ১০ জুলাই জাতীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *