স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশে চালু হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের এই স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।
সর্বশেষ আপডেট:
নীতিমালা প্রণয়ন:
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করতে একটি খসড়া গাইডলাইনের ওপর মতামত সংগ্রহ করছে। এটি স্টারলিংকসহ অন্যান্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দেশের বাজারে প্রবেশের পথ সুগম করবে।
- সরকারের আগ্রহ: সরকার স্টারলিংককে সেবা প্রদানের লাইসেন্স দিতে আগ্রহী। সম্প্রতি স্টারলিংকের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে বৈঠক করেছে।
- প্রদর্শনী: রাজধানীর বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে স্টারলিংকের রিসিভার প্রদর্শন করা হয়েছে, যা তরুণদের মধ্যে তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
সেবা খরচ:
- স্ট্যান্ডার্ড কিট: স্টারলিংকের স্ট্যান্ডার্ড কিটের এককালীন দাম প্রায় ৩৪৯ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪২,০০০ টাকা)।
- মাসিক ফি: প্রতি মাসে গ্রাহক ফি হিসেবে প্রায় ১২০ ডলার (প্রায় ১৪,৫০০ টাকা) দিতে হবে। এই প্যাকেজে প্রতি সেকেন্ডে ২৫-১০০ মেগাবিট গতির ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।
প্রতিযোগিতা:
বাংলাদেশের স্থানীয় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা প্রতি মাসে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড সেবা দিয়ে থাকে। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ৩০ জিবি ডেটার জন্য খরচ হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
উপকারিতা:
স্টারলিংক সেবা চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত ও অনুন্নত এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ সহজলভ্য হবে, যা শিক্ষার্থী, ব্যবসা এবং সাধারণ মানুষের জন্য উপকারী হবে।
সর্বশেষ তথ্যের জন্য:
স্টারলিংক সেবা চালুর সঠিক তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। সেবা চালু হলে এটি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
স্টারলিংক সেবা চালুর বিষয়ে আরও জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:
আরো পড়ুন : আপনি কি স্টারলিংক ইন্টারনেট সম্পর্কে জানেন? Elon Musk
