(Stroke)

স্ট্রোক (Stroke) কী ও প্রকার

ব্লগ ওয়েব

স্ট্রোক (Stroke) হল একটি গুরুতর মেডিক্যাল অবস্থা যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে মস্তিষ্কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে পক্ষাঘাত, ভাষাজ্ঞান হারানো, স্মৃতিভ্রংশ বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্ট্রোকের মূল দুটি প্রকার রয়েছে:

১. আইসেমিক স্ট্রোক (Ischemic Stroke):

এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ প্রকার। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কের কোনও অংশে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণত রক্তনালির মধ্যে জমাট বাঁধা রক্তের কারণে। এই প্রকার স্ট্রোক প্রায় ৮০% স্ট্রোকের জন্য দায়ী।

  • কারণ: রক্তনালিতে জমাট বাঁধা রক্ত বা অন্যান্য ব্লকেজের কারণে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হওয়া।
  • উপসর্গ: এক পাশের শরীর পঙ্গু হওয়া, ভাষা না বোঝা বা বলার অসুবিধা, দৃষ্টি সমস্যা ইত্যাদি।

২. হেমোরেজিক স্ট্রোক (Hemorrhagic Stroke):

এই প্রকার স্ট্রোক ঘটে যখন মস্তিষ্কের কোনও রক্তনালি ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরে। রক্তক্ষরণের কারণে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি তুলনামূলকভাবে কম প্রচলিত, তবে এটি অধিক বিপজ্জনক হতে পারে।

  • কারণ: রক্তনালি ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, বা অ্যানিওরিজমের কারণে।
  • উপসর্গ: প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, অচেতন হওয়া, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক অশক্তি ইত্যাদি।

অন্যান্য প্রকার:

  • টিআইএ (TIA) বা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (Transient Ischemic Attack): এটি এক ধরনের “মিনি স্ট্রোক”, যা সাময়িকভাবে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ঘটে, কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এটি স্ট্রোকের একটি প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।

স্ট্রোকের জন্য যথাসময়ে চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না নিলে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হতে পারে এবং পরবর্তী জীবনযাত্রায় গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।

more: স্ট্রোকের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানালে, এর ধরন, কারণ, লক্ষণ, এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *