বরিশাল:
টিকটক ব্যবহার নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশালে খুন হলো এক কিশোর। নিহতের নাম আবীর হোসেন (১৩)। একই বয়সী অপর এক শিশু বন্ধুর ছুরিকাঘাতে সে নিহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবীর ও তার বন্ধুরা মিলে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও করছিল। একপর্যায়ে ভিডিও বানানোকে কেন্দ্র করে আবীরের সঙ্গে অপর এক শিশুর তর্ক হয়। তর্ক থেকেই কথা কাটাকাটি ও পরে ধস্তাধস্তির পর্যায়ে চলে যায় বিষয়টি।
হঠাৎ সেই শিশু ছুরি বের করে আবীরকে বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আবীরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শিশুটিকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অপরাধের দায় স্বীকার করেছে। তার পরিবার ও ঘটনার পেছনের মোটিভ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত আবীর স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা জানায়, আবীর খুবই ভদ্র ও মেধাবী ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত শিশুকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার ও পর্যাপ্ত অভিভাবকীয় নজরদারির অভাবে এমন সহিংসতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে টিকটক, গেম ও সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে বিরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে।
তাদের মতে, শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতা তৈরি ও মানসিক বিকাশে পারিবারিক ও বিদ্যালয়ের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।