আব্দুল হাকীম বঙ্গবানী
যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর: প্রার্থনা
বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা– বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা, দুঃখে যেন করিতে পারি জয়॥
মাইকেল মধুসুধন দত্ত কপোতাক্ষ নদ
সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে! সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে; সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে শোনে মায়া- মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে! বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
কাজী নজরুল ইসলাম: বিদ্রোহী
বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
জীবনানন্দ দাশ বনলতা সেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে…
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কেউ কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলোনা পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
পূর্ণেন্দু পত্রী কথপোকথন
তুমি আজকাল বড্ড সিগারেট খাচ্ছ শুভঙ্কর।
– এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি…
কিন্তু তার বদলে?
–বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো?
জসীম উদ্দিন প্রতিদান, কবর
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ মাগো, ওরা বলে-
কুমড়ো ফুলে ফুলে
নুয়ে পরেছে লতাটা, সজনে ডাঁটায় ভরে গেছে গাছটা,
আর আমি ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি।
খোকা তুই কবে আসবি ?
কবে ছুটি?”
শামসুর রাহমান স্বাধীনতা তুমি
স্বাধীনতা তুমি -শামসুর রহমান স্বাধীনতা তুমি রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান। স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ
সুকান্ত ভট্টাচার্য হে সুর্য!
হে সুর্য!
তুমি আমাদের স্যাঁতসেঁতে ভিজে ঘরে
উত্তাপ আর আলো দিও,
আর উত্তাপ দিও,
রাস্তার ধারের ঐ উলঙ্গ ছেলেটাকে।
নির্মলেন্দু গুণ নেকাব্বরের মহাপ্রণয়
নেকাব্বর শুয়ে আছে জীবনের শেষ ইস্টিশনে। তার পচা বাসী শব
ঘিরে আছে সাংবাদিক দল। কেউ বলে অনাহারে, কেউ বলে অপুষ্টিতে,
কেউ বলে বার্ধক্যজনিত ব্যাধি, – নেকাব্বর কিছুই বলে না।
আল মাহমুদ নোলক
আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।
দিজেন্দ্র লাল রায়, নন্দলাল
নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ – স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন। সকলে বলিল, ‘আ-হা-হা কর কি, কর কি, নন্দলাল?’ নন্দ বলিল, ‘বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল?
এছাড়াও আরো অসংখ্য কবিতা আছে। প্রাই শুনি। আসলে বাংলাভাষার সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা কোনটি এই সিদ্ধান্তে আসা খুবই কঠিন।