গাজার খান ইউনিসে বিস্ফোরণে ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত

বিশ্ব

তারিখ: ২৪–২৫ জুন ২০২৫
স্থান: খান ইউনিস, দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপ

🕯️

– মঙ্গলবার (জুন ২৪, ২০২৫) বিকেলে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি “Puma” নামে পরিচিত আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ারে (APC) একটি বিস্ফোরক যন্ত্র লাগিয়ে একটি হামলা হয়েছে খন ইউনিস শহরে ।
– বিস্ফোরণটি সেনাদের গাড়িকে আগুনে ঝলসে দেয়, যার ফলে সাতজন ইসরায়েলি সেনা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ।


👥 নিহত সেনাদের তথ্য

৬ জন সেনার পরিচয় ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে আইডিএফ:

লেফটেন্যান্ট মাটান শাই ইয়াশিনোভস্কি, ২১, কাফার ইউনা

স্টাফ সার্জেন্ট রোনেল বেন-মোশে, ২০, রেহোভোট

স্টাফ সার্জেন্ট নিভ রাডিয়া, ২০, এলিয়াখিন

সার্জেন্ট রোনেন শাপিরো, ১৯, মজকেরেত বাত্যা

সার্জেন্ট শাহার মানোভ, ২১, আশ্কেলন

সার্জেন্ট মায়ান বারুচ পার্লস্টেইন, ২০, এশহার

৭ম নিহত সেনার নাম আরও পরে প্রকাশ করা হবে ।


🔎 হামলার প্রাথমিক তথ্য

– ঘটনার পর প্রাথমিক খোঁজে জানা গেছে, একজন হামাস-সমর্থিত জঙ্গি APC এর নিচে বিস্ফোরক বসিয়ে দেওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ।
– বিস্ফোরণের পর গাড়িটি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুনে বিশুদ্ধভাবে পুড়ে গিয়ে পড়ে; উদ্ধারকারীরা নিরাপদভাবে পৌঁছাতে পারেনি ।
– IDF জানিয়েছে, নিহত সেনারা 605তম কৌশলসূচক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের অংশ ছিলেন এবং তারা 188তম ‘বড়াক’ ডিভিশনের আওতাভুক্ত ।


📰 পরিপ্রেক্ষিত

– হামলার পর আইডিএফ স্থান থেকে দাহ্যবস্তুর অভিযান চালিয়ে বুলডোজার ও ফায়ারট্রাক ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় ।
– একই অঞ্চলে RPG হামলায় আরও দু’জন আহত হয়েছে, একজন গুরুতর আহত ।
– চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু, এরপর থেকে হাজার হাজার নিহত হয়েছে; শুধু এই জুনেই ১৯ জন আইডিএফ সৈনিক মারা গেছে ।


📝 আইডিএফ বিবৃতি

IDF মুখপাত্র বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে বলেছে, “৭ সার্জেন্ট, একজন অফিসার এবং ৬ সেনা নিহত হয়েছে Khan Yunis-এ combat operations-এর সময়; এছাড়া ১ জন গুরুতর আহত” ।


সামগ্রিক প্রভাব

– এটি খন ইউনিসে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে প্রাণহানির ঘটনার মধ্যে একটি।
– গাজায় চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে; এই ঘটনায় যুদ্ধের তীব্রতা ও মৃত্যুর হার বেড়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহল গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।


🔚

খান ইউনিসে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণ–হামলাটি গাজার উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ ও মানবিক সংকটময় করেছে। ইসরায়েলি পক্ষের কষ্ট ও ক্ষতির পাশাপাশি গাজার সার্বিক নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের সংকট আরও জোরালো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত হামার উপশম এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তিচিন্তা দাবি করছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *