বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি কাজী নজরুল ইসলাম
(মে ২৫, ১৮৯৯ – আগস্ট ২৯, ১৯৭৬), বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। জীবনানন্দ দাশ (১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯, বরিশাল – ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪, কলকাতা) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি।
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে, ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট, ১৯৭৬) বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবি, সঙ্গীতশিল্পী, লেখক, রচনাবলীপ্রাপ্ত পত্রিকাসংস্থাপক, একজন প্রত্যাশিত স্বাধীনতা যোদ্ধা, বাংলা ভাষার কৃষ্ণাত্মক ও আধুনিক সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি বাংলা সাহিত্যে আধুনিক সাহিত্যের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার কবিতায় রোমান্টিসিজম, প্রতিকূলতা, বিপ্লব ও মানবিক সমস্যার সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। তিনি আমার সোনার বাংলা, বিধ্বস্ত, সাংবিধানিক, বিক্ষিপ্ত, বৈঠকি, আজান ও বঙ্গবাণী নামক কাব্য সমগ্র রচনাবলীতে পরিচিত।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন সাহিত্যিক যোদ্ধা যার কবিতা, সঙ্গীত এবং কথনগুলি জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের উৎকর্ষ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উদ্দীপনা দিয়েছিল। তার কবিতাগুলি রক্ত, রক্তাক্ত, উৎকর্ষিত জনতার কবিতা ছিল এবং এগুলি মুক্তিযুদ্ধের উদ্যানে মুক্তিসংগ্রামী সাহিত্য গণের নিজের মন প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তার কবিতা সংগীতে পরিণত হয়েছিল, এবং তার সাহিত্য সঙ্গীতের ক্ষেত্রে মুখ্য উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হত।
নজরুলের কবিতা এবং সংগীতে তার দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা, রক্তদ্বারা লিপ্ত হৃদয়, ধর্ম, স্বাধীনতা, প্রেম, সহিংসতা, অত্যাচার, রাষ্ট্রপ্রজাতন্ত্রের ক্ষোভ, বৈধতা, পরিহাস, মানবতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।
তার কোনও একটি অন্যত্র সাহিত্যিক সৃষ্টিতে নাই, এবং তিনি একজন দৈনন্দিন জীবনের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধার মত পরিচিত ছিলেন।